BGMEA 1978-2024

Achievement of Sammilito Parishad

বাংলাদেশ ব্যাংক বিগত ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/ নগদ সহায়তা বিষয়ক একটি সার্কুলার জারি করে, যার মাধ্যমে প্রচলিত নগদ সহায়তার হার ও কাঠামোতে কিছু অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ এর বর্তমান বোর্ড তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে মাননীয প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হন, এই পরিবর্তন শিল্পের জন্য মোটেও সহায়ক ও সময়োপযোগী নয়, বরং এটি শিল্পে অনাকাঙ্খিত ঝুঁকি ও বিপর্যয় ডেকে আনবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/ নগদ সহায়তা পুনর্বহাল রাখা হয়।

ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ ৫ বছর করা হয়েছে।

IRC এবং ERC এর মেয়াদ ১ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৫ বছর করা হয়েছে।

ইপিবি'র রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রেও মেয়াদ ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গ্রুপভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোর ব্যাঙ্কিং সেবা বন্ধ করে দেয়া হতো৷ এই নিয়ম বাদ দিয়ে এখন একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলেও গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যাংকিং সুবিধা চালু থাকবে।

নিট পোশাকের ক্ষেত্রে অপচয় হার বেসিক আইটেমে ২৯%, স্পেশাল আইটেমে ৩২% এবং সুয়টোররে ক্ষেত্রে ১৬% করা হয়ছে।

নতুন আমদানি নীতি অনুযায়ী FOC (৩৩ % থেকে বৃদ্ধি করে ৫০% করা হয়েছে) নতুন আমদানি নীতি অনুযায়ী FOC এর আওতায় ৬ মাসের কাঁচামাল আমদানি করা যাবে, যা আগে ছিল ৪ মাস।

একটি বন্ড লাইসেন্সের আওতায় এখন ২টির পরিবর্তে ৩টি কারখানা অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

বন্ড লাইসেন্সে আগে ৩টি লিয়েন ব্যাংক অন্তর্ভূক্ত করা যেত, এখন তা বাড়িয়ে ৫টি লিয়েন ব্যাংক করা হয়েছে।

দুটি বন্ডেড কারখানার মধ্যে সাব-কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট প্রত্যাহার করার জন্য এনবিআর আদেশ জারি করেছে, আগে এ ধরনের সুবিধা ছিল না। এর ফলে সাব-কন্ট্রাক্টে বাড়তি খরচ কমবে

ইপিজেড এলাকার কারখানাগুলোর বন্ড লাইসেন্সের মেয়াদ ২ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর করা হয়েছে, এই সুবিধা সব রপ্তানিমুখী শিল্পের, প্রয়োগ করতে আমরা কাজ করছি ।

রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্রেতা পণ্য রিটার্ন করলে তা রিলিজ এবং পুনরায় রপ্তানির বিষয়ে এনবিআর আদেশ জারি করেছে।

কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে ।

এখন ২.৫% থেকে ৪.৫% ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিলিকরনের সুবিধা গ্রহন করা যাবে, এবং এই পুনঃতফসিলিকৃত ঋণ ৫-৮ বছরের জন্য নেয়া যাবে।

EDF এর ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক আংশিক কিস্তি পরিশোধের অনুমতি দিয়েছে, যা আগে ছিল না। এছাড়াও EDF ফান্ডের পেমেন্ট তারিখ থেকে পুনঃঅর্থায়ন পর্যন্ত সময়ের জন্য ১% এর বেশি অতিরিক্ত সুদ চার্জ না করার সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

টেকনোলজি আপগ্রেডেশন এর জন্য ৪%-৫% সুদে ঋণ প্রদানের জন্য ১০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রীন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড নামে ৫০০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে, যা থেকে ৫% সুদে ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য ঋণ নেয়া যাবে। এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি আমদানি করা যাবে।

রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক “লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি" নামে একটি তহবিল গঠন করেছে, যা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ঋণ নেওয়া যাবে। এই তহবিল থেকে একজন ঋণগ্রহীতা ১টি ব্যাংক থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার এবং একাধিক ব্যাংক থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ধার নিতে পারবেন যার মেয়াদ গ্রেস পিরিয়ড সহ সর্বোচ্চ ১০ বছর। এই ঋণ ব্যবহার করে মূলধনী সরঞ্জাম আমদানি করা যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পোশাক রপ্তানির জন্য কাট-অফ-টাইম কমিয়ে জাহাজ যাত্রার ৩ ঘন্টা আগে জেটিতে পৌঁছানোর অনুমোদন করেছে। আগে রপ্তানি পণ্য জাহাজ আসার ১ দিন আগে জেটিতে পৌঁছানোর আদেশ ছিল।

আগে আমরা শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় টেক্সটাইল কাঁচামাল আমদানি করতে পারতাম, এখন বেনাপোলের পাশাপাশি ভোমরা, সোনামসজিদ, দর্শনা, ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পার্শিয়াল শিপমেন্ট অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে দ্রুত ও কম খরচে প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি পণ্য স্ক্যানিংয়ের জন্য দুটি নতুন ইডিএস মেশিন বসানো হয়েছে, এবং ২টি এখন সেবা দিচ্ছে। সিলেটেও একটি নতুন ইডিএস মেশিন বসানো হয়েছে।

ভারত থেকে রেলপথে খালি কন্টেইনার আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য এই কন্টেইনার ব্যবহার করা হবে।

রেডি-মেইড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিকদের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ২০১১ সালে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি এন্ড ওয়ার্কার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওয়ার্কার ডাটাবেস) চালু করা হয়। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ৩ হাজারের অধিক কারখানায় এই অত্যাধুনিক সফটওয়্যার চালু রয়েছে যেখানে ৮৫ লাখের বেশি শ্রমিকের ব্যক্তিগত, বায়োমেট্রিক ও চাকুরির আপডেট তথ্য রয়েছে। এই সফটওয়্যার সিস্টেমের জন্য বিজিএমইএ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এওয়ার্ড-সহ আরও দুটি প্রেস্টিজিয়াস আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড পেয়েছে।

ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও খুচরা যন্ত্রাংশ ছাড়া করার জন্য ভ্যাট কর্মকর্তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার শর্ত বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে মেশিনারী আমদানির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজের জটিলতা ও ব্যায় কমবে।

LDC গ্রাজুয়েশন আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা বাংলাদেশ সরকার ও প্রধান বাজার গুলোর সরকারের সাথে কাজ করছি। ইতিমধ্যে কিছু দেশ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে

  • ব্রিটিশ সরকার একটি নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণা করেছে, শুল্ক নীতি এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর ও বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
  • অস্ট্রেলিয়া সরকার ২০২৬ সালের পরও বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখবে, কানাডিয়ান সরকার তাদের GSP স্কিম ২০৩৪ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে এবং GPT+ নামে একটি নতুন বাণিজ্য কর্মসূচির ধারণা পাস করেছে, যার মাধ্যমে আমরা ইউরোপ এর GSP প্লাস এর ন্যায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
  • বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলে আমদানির উপর ম্যান্ডেটরি ফাউমিগেশন নিয়ম প্রত্যাহার করেছে, ফলে আমরা এখন কম খরচে ও কম সময়ে মার্কিন তুলে আমদানি করতে পারছি।

ইউডি ও ইউপি ইস্যু করার ক্ষমতা লাভ

শিশুশ্রম মুক্তকরণ

শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন

শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ৫টি স্কুল প্রতিষ্ঠা

শ্রমিকদের জন্য ১২টি হেলথ সেন্টার প্রতিষ্ঠা

চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ

সার্টিফিকেট অব অরিজিন ইস্যু করার ক্ষমতা লাভ

এস.এম.ই প্রণোদনা ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে বিজিএমইএ’র যেসব সদস্য ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত রপ্তানি করেছেন, তাদেরকে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা প্রদান; যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

নতুন বাজারে প্রণোদনা ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ব্যতিত অন্য যেকোনো নতুন বাজারে রপ্তানি করলে শর্তহীনভাবে এফওবি মূল্যের উপর ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ৫%, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ৪% যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ওয়ান স্টেজ জি.এস.পি ২০১১ সালে রপ্তানিতে সর্বোচ্চ সূচক অর্জন

আমদানি পণ্য রিলিজ করতে ৩৩টি ধাপ থেকে কমিয়ে ১৩টি ধাপে নিয়ে আসা। রপ্তানি প্রক্রিয়া ২৩ ধাপ থেকে ৯ ধাপে নামিয়ে আনা হয়েছে।

২৭০ জন ‍রুগ্ন ফ্যাক্টরি মালিককে সরকার এর সাথে সফল আলোচনায় ১% ডাউন পেমেন্ট এর মাধ্যমে স্বাভাবিক ব্যবসায় ফিরিয়ে আনা।

পোশাক খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি

জিএসপি ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া ১৭ হতে ৭ ধাপে কমিয়ে আনা।

REX-GSP প্রক্রিয়া সার্টিফিকেট সহজকরণ

বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট সেল প্রতিষ্ঠা (বায়ারদের ভিসা সংক্রান্ত সার্ভিস প্রদান)

ওভেন গার্মেন্টসগুলোকে ওয়ান স্টেজ ট্রান্সফরমেশন এর সুবিধা প্রদান

চট্টগ্রামে বিজিএমইএ হাসপাতাল নির্মাণ

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ বিভাগ প্রতিষ্ঠা

রানা প্লাজা ধ্সের পর শিল্পের পুনর্নির্মাণ

সকল সেফটি ইকুইপমেন্টের উপর কর প্রত্যাহার

বিজিএমইএ বিইউএফটি জার্নালিজম ফেলোশিপ প্রবর্তন করা

ঢাকা অ্যাপারেল সামিট

বিজিএমইএ তে ফায়ার সেফটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠা

উত্তরাতে নতুন বিজিএমইএ’র কমপ্লেক্স নির্মাণ ও স্থানান্তর

মিরসরাই গার্মেন্টস ভিলেজ প্রতিষ্ঠা

বিজিএমইএ সভাপতিকে পদাধিকার বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর পরিচালনা পর্যদে নিয়োগ প্রদান।

চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধাদি বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন

শ্রমিক কল্যাণে সেন্ট্রাল ফান্ড গঠন